পর্দায় চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করেন না তামান্না। বড় পর্দার সিনেমা বা ওটিটির প্ল্যাটফর্মে নায়ক-নায়িকার চুম্বনদৃশ্য যেখানে ডাল-ভাত, দক্ষিণ ভারতীয় এই অভিনেত্রী সেই সময়ে এসে চুমুর ব্যাপারে বেশ রক্ষণশীল। নাচ-গান হই-হুল্লোড় সবকিছুতে থাকবেন তিনি, কেবল ক্যামেরা চালু রেখে চুমু খেতে নারাজ ‘বাহুবলী’ ছবির অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। যেকোনো সিনেমার ক্ষেত্রে তাঁর নীতি—নায়কের সঙ্গে ঠোঁট মেলানোর দৃশ্য রাখা যাবে না।
চুমু না খাওয়ার এই নীতি তামান্না এখনো ধরে রেখেছেন। এসব মেনেই এই তারকাকে নিজেদের সিনেমায় নেন পরিচালক। চুক্তি সই করার আগে তাই চিত্রনাট্য ভালো করে পড়ে নেন তিনি। চুমুর দৃশ্য থাকলে মুখের ওপর ‘না’ করে দেন। বিশেষ এই সুযোগ তিনি কার জন্য রেখেছেন? সম্প্রতি মুখ ফসকে সেটা বলে দিয়েছেন এক টক শোতে।
দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা আক্কেনেনি একটি টক শো উপস্থাপনা করেন একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য। সেখানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন সিনেমার বাঘা বাঘা সব তারকা। সে রকম এক আয়োজনে ছিলেন তামান্না ভাটিয়া। সামান্থার অদ্ভুত সব প্রশ্নের উত্তরে মজার সব কথা বলেছেন তামান্না। আর সেখানে এসেছিল তামান্নার চুমুর প্রসঙ্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সেই পর্বের প্রচারণামূলক এক টুকরো ভিডিও। সেখানে সামান্থা প্রশ্ন করেছেন, তামান্না যদি পর্দায় চুমু না খাওয়ার নিয়ম ভাঙেন, তবে কাকে চুমু খাবেন? তামান্নার উত্তর দেন, ‘বিজয় দেবারাকোন্ডাকে চুমু খেতে চাই।’
‘অর্জুন রেড্ডি’খ্যাত বিজয় দেবারাকোন্ডা তেলেগুসহ সারা ভারতের ক্রাশ। কিন্তু কেন তামান্না বিজয়কে পছন্দ করেছেন চুমু খাওয়ার জন্য, তা জানা যাবে পুরো অনুষ্ঠান দেখলে। তামান্না চুমু খাওয়ার ব্যাপারটি যে প্রথমবার ফাঁস করেছেন, তা নয়। এর আগেও তিনি জানিয়েছেন, কাকে চুমু খেতে ইচ্ছুক। এর আগে তিনি বলেছিলেন হৃতিক রোশনের নাম। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তিনি কখনো অনস্ক্রিন চুমু খান না। যদি কখনো সেটি করতে হয়, তবে হৃতিকের ক্ষেত্রে হতে পারে।
হৃতিক রোশনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তামান্নার। তখন একেবারে তাঁর ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ভুলেই গিয়েছিলেন যে তিনিও একজন তারকা। শুধু তাই নয়, হৃতিকের সঙ্গে ছবি তুলতেও ভোলেননি এই তারকা।