নির্বাক বাবা আলতাফ হোসেন। নিষ্পলক তাকিয়ে আছেন রাস্তার দিকে। দুই ছেলের এমন চলে যাওয়ায় শোকে যেন পাথর হয়ে গেছেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বড় ভাই সারোয়ার হোসেন বাবুর আশা ছিল- ছোটভাই আরিফুল ইসলাম রাব্বীকে উচ্চশিক্ষিত করবেন। তাই তাকে ঢাকার সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন।
ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে দুই ভাই ট্রেনে এসে জয়পুরহাট স্টেশনে নামেন। তারপর বাসে করে রওনা দেন জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আটুল গ্রামের উদ্দেশে। পথে পুরানাপৈল রেলগেটে ঘটে ট্রেন-বাসের সংঘর্ষ।
আরও ১০ জনের সঙ্গে ঝরে যায় দুই ভাইয়ের প্রাণ। থেমে যায় উচ্চ শিক্ষার আশা- একটি স্বপ্ন।কৃষক আলতাফ হোসেনের পরিবারে এখন নেমে এসেছে গাঢ় অন্ধকার। আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে ৭ বছর বয়সী একমাত্র নাতনী বাবলীর কান্নায়। বাবা-চাচা হারানো বাবলীকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন তাদের দেখতে আসা শোকাহত মানুষগুলো।